দেশ ও জাতির কল্যাণে ৯ দফা দাবী উত্থাপন করেছে সচেতন খুলনা বাসী , আজ ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ইং খুলনা ডাকবাংলা, সরওয়ার্দী স্কুলের সামনে এক সমাবেশে তারা এ দাবী উত্থাপন করে।
সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যেসব দাবি জানানো হয়েছে,
১ম দফা – পবিত্র শানে মানহানী করলে শরঈ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২ দফা : পাঠ্যক্রমে নূরে মুসজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভূক্তকরণ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।
৩য় দফা – পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে। জনগণের দাবী হচ্ছে, সংবিধান যারাই সংস্কার করুক, সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দ্বীনি অনুভূতির প্রতিফলন থাকতে হবে। পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ মেনেই সংবিধানের ধারা-উপধারা প্রণয়ন করতে হবে, কিছুতেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছু প্রবেশ করানো যাবে না। সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম অবশ্যই বহাল রাখতে হবে এবং কুফরী মতবাদ বাদ দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার উপর আস্থা ও ভরসা ফিরিয়ে আনতে হবে।
উল্লেখ্য দেশ পরিচালনায় যে যত আইন বা পদ্ধতির কথা কথাই বলুক না কেন, প্রকৃতপক্ষে সমগ্র দুনিয়ার শাসন ব্যবস্থা হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালামে উনাদের আদলেই হওয়া উচিত, কারণ সে ব্যবস্থা ব্যতিত ইনসাফ সম্বলিত শাসন ব্যবস্থা কখনই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
৪ দফা- দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবার উর্ধ্বগতি হ্রাস করতে হবে।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে অনেক পরিবার খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গরীব ও মধ্যবিত্তকে খাবার খাওয়া বন্ধ করা ব্যতিত উপায় থাকবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত দ্রুত দ্রব্যমূল্য হ্রাস করে জনগণের জন্য তা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা। পাশাপাশি, বর্তমানে দেশে চিকিৎসা খরচ জনগণের সক্ষমতার বাইরে রয়েছে। জনগণ যেন চিকিৎসার মত মৌলিক ও জরুরী চাহিদা সহজে লাভ করতে পারে, সেজন্য চিকিৎসার খরচও জনগণের সক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
৫ম দফা- পাহাড়ে উপজাতিদের পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র দমন করাতে হবে এবং কথিত রাজার শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ ভ্রমণে সর্বপ্রকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
৬ষ্ঠ দফা- হিন্দুত্ববাদ ও ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ বন্ধ করতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত বিরোধী বড় বড় কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা আওয়ামীলীগের মতই ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ নীতি অব্যাহত রেখেছে। হিন্দুত্ববাদ তোষণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, দূর্গা পূজার ছুটি বাড়িয়ে ভারত ও হিন্দুত্ববাদীদের খুশি করার চেষ্টায় নেমেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী সরকার যেভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বাদ দিয়ে ভারত ও হিন্দুত্ববাদীদের খুশি করায় মনোযোগী ছিলো, বর্তমান সরকারের কার্যক্রমও একইরকম দৃশ্যমান হচ্ছে। বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পথে হেটে আওয়ামীলীগের পরিণতি যেন বরণ না করতে হয়, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকা উচিত।
৭ম দফা- ভারত-ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের যে কোন স্থানে মুসলমান নির্যাতন হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করতে হবে।
৮ম দফা- জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধের টিকার নামে মেয়েদের বন্ধাত্ব তৈরী করা করা যাবে না। এইচপিভি টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
৯ম দফা- মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ না করা যাবে না।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। বর্তমান সরকার যেন আওয়মীলীগের মত ফ্যাসিস্ট আচরণ না করে সেই ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যরা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারলে মুসলমানরা কেন বলতে পারবে না? মুসলমানদেরকেও সেই অধিকার দিতে হবে। কিছুতেই মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। বর্তমান সরকার যেন আওয়মীলীগের মত ফ্যাসিস্ট আচরণ না করে সেই ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :