বিশেষ প্রতিনিধি:
খোরশেদ আলমরাই বিএনপির মূল চালিকাশক্তি। তার মতো নেতার জন্ম হয়েছে দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণের প্রত্যয়ে। তিনি নেতা, তিনি মানুষ, তিনি গরিব দুঃখী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া শতকের কাছে মামলা খেয়েও তিনি ছিলেন হিমালয়ের মত দৃঢ় কঠিন। হাজারো নির্যাতন, বারবার কারাগারে প্রকোষ্টে নিক্ষেপ করলেও থেমে থাকেনি খোরশেদ আলমের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। থেমে থাকেনি দেশ, মাটি ও বিএনপির প্রতি দায়িত্ববোধ। সাভারের গণ মানুষের নেতা, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন সম্পাদক লায়ন খোরশেদ আলমকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ মহব্বত আলী। এমন মন্তব্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি একটি সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলাম তার বাসায়। তিনি আমার সমস্যা শুনলেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিলেন। এমনকি আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। আমি তার ব্যবহারে অনেক খুশি হয়েছি। আমার দু চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরেছে কয়েক ফোঁটা। খোঁজ নিয়ে জানলাম, শুধু তিনিই নন। প্রতিদিনই শত শত দুঃস্থ,অসহায় মানুষ তার বাসায় গিয়ে জড়ো হয়। তিনি সবার কথা শুনেন এবং গরিব- দুঃখী মানুষকে সাধ্যমত সহযোগিতা করেন। কেউ কোন বিপদে পড়লে এগিয়ে আসেন খোরশেদ আলম। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাভার আশুলিয়ার অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। পঙ্গুত্ববরণ করেছেন কেউ কেউ। হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকেই। আবার কেউ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সুস্থ হওয়ার আশায়। খোরশেদ আলম এইসব মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন নিজে উপস্থিত থেকে। সাংবাদিকদের প্রাণকেন্দ্র সাভার প্রেসক্লাব দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিলে সেখানে গিয়ে হাজির হন খোরশেদ আলম। তাৎক্ষণিক সহযোগিতা সহ ঘোষণা দেন সব সময় সাংবাদিকদের পাশে থাকার। তিনি গিয়েছেন আশুলিয়া প্রেসক্লাবে।সেখানেও সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়ে নিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন। নাম উল্লেখ না করে একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। খোরশেদ আলম এর মত কোন আওয়ামী লীগের নেতা এত আবেগ নিয়ে আমাদেরকে বুকে টেনে নেননি। ঘোষণা দেননি সার্বক্ষণিক পাশে থাকার। তাই আমি খোরশেদ ভাইয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। সাভার আশুলিয়ার রাজনীতিতে খোরশেদ ভাইয়ের মত মহান মানুষের বড্ড প্রয়োজন। যিনি বদলে দিতে পারেন প্রাণের সাভার আশুলিয়া কে।
আপনার মতামত লিখুন :