‘চিরনিদ্রায় শায়িত নায়ক’: কম্বোডিয়ায় সেই ইঁদুরের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাগাওয়া মাটির নিচে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক (ল্যান্ডমাইন) চিহ্নিত করতে পারতো। যেখানে ল্যান্ডমাইন আছে, সেখানে গিয়ে সে হাঁচি দিতো! এভাবে কম্বোডিয়ায় শতাধিক ল্যান্ডমাইন ও বিস্ফোরকের সন্ধান সে দিয়েছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে।
এজন্য তাকে বীরত্বের মেডেলও দেয়া হয়েছিল। আট বছর বয়সে সে মারা গেছে।
কথা হচ্ছিল একটি ইঁদুরকে নিয়ে। একটি দাতব্য সংস্থা মাগাওয়া নামের ওই ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
গত বছর অবসরে গিয়েছিল মাগাওয়া। চলতি সপ্তাহে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা এপিওপিও এ ঘোষণা দেয়।
এপিওপিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মাগাওয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল; গত সপ্তাহের অধিকাংশ দিন সে খেলাধুলা করেই কাটিয়েছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিকে সে ধীরস্থির হতে শুরু করে। শেষ দিনগুলোতে সে বেশি বেশি ঘুমাতো এবং খাবারের প্রতি অনীহা দেখাতো।’
কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলার কারণে এর মাটির নিচে পুঁতা রয়েছে অসংখ্য বিস্ফোরক। এসব মাইনের খোঁজ পেতে বেলজিয়ামভিত্তিক এপিওপিও আফ্রিকার বৃহৎ আকারের ওই ইঁদুরটিকে প্রশিক্ষণ দেয়।
এক সময় হাঁচি দিয়েই ল্যান্ডমাইন চিহ্নিত করার দক্ষতা অর্জন করে ইঁদুরটি। ক্রমেই সে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পুরো কম্বোডিয়ায়।
২০২০ সালে মাগাওয়াকে স্বর্ণ পদকে সম্মানিত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা। এটা ছিল বিশ্বে কোনো ইঁদুরকে দেয়া প্রথম সম্মাননা।
মাগাওয়ার মৃত্যুতে এপিওপিও বলছে, ‘এক নায়কের চিরপ্রস্তান।’ আসলেই তো নায়ক ছিল মাগাওয়া। তার জন্যতো শোকাহত হবেই কম্বোডিয়া। সূত্র: আল জাজিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x