রাজবাঁধ এলাকায় ময়লা ফেলার স্থানে শুকর চরানোর নামে মাদকের আখড়া: নেতৃত্বে রয়েছে কেসিসির সুপারভাইজার
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
খুলনার প্রাণকেন্দ্র জিরোপয়েন্ট ও কৈয়া বাজার এলাকা। এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বিভিন্ন জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ফ্লাট ব্যবসা। লাইসেন্সবিহীন এই ফ্ল্যাট ব্যবসায়ীরা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই সকল ব্যবসায়ীদের অন্তরালে রয়েছে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠছে সরকারি অনুমোদন বিহীন বাড়িঘর ও কলকারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এই সকল অবৈধ রমরমা ব্যবসা বাণিজ্য। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ এই জমি বিক্রেতা ব্যবসায়ীদের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। মাঝেমধ্যে দায়সারা অবস্থায় ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযোগ উঠেছে,এই সকল ফ্লাটিং ব্যবসার অভ্যন্তরে চলছে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা। গত কয়েকদিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৈয়াবাজার সংলগ্ন রাজবাঁধ সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলা স্থানের ভিতরে মাদক সেবনকারীদের আখড়া। ৪-৫টি একটি শুকর ব্যবসায়ীদের দল সেখানে রাতদিন শুকর চরানোর নামে গড়ে তুলেছে মাদকের ব্যবসা। আর মাদক সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছে ওই ময়লা ফেলার সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কথিত কিছু সুপার ভাইজার কর্মকর্তা। এরা ঐ শুকর মালিকদের কাছথেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে রাতের বেলায় তাদেরকে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। ময়লা ফেলার ওই এলাকাটা এতই দুর্গন্ধ যে,সেখানে দিনের বেলা তো দূরের কথা,কখনো সেখানে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করেনা। আর এই কারনে মাদক ব্যবসায়ীরা ঐ যায়গাটি তাদের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে বেছে নিয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলা স্থানের দায়িত্বরত সুপারভাইজার মোঃ আনোয়ার এর সাথে।
তিনি বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। রাতের বেলায় এখানে কি হয় সেটা আমি জানিনা। কারন রাতে এখানে আমি থাকিনা।
শুকর ব্যাবসায়ী রবিন মন্ডল জানায়, আমি মালিকের কর্মচারী। এখানে আমি ছাড়া আরো ৪-৫ জন ব্যবসায়ী আছে। সবাই রাতে দিনে এখানে থাকে। রাতে আমি এখানে বেশকিছু লোকের আনাগোনা দেখেতে পাই। তবে কেন তারা আসে, সেটা বলতে পারবনা। তাপস তরফদার নামে আর এক শুকর ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয়। সে বলেন, এখানে মিলন, সাগর, শুকুমার, সুবোধসহ আরো অনেকে থাকে। এদের আনুঃ ৫-৬ শত শুকর রয়েছে। এখানে ১০-১৫ জন কর্মচারী শুকর দেখাশোনা করে। যারা শুকর দেখাশোনা করে তারা রাতে ঐ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গাজার আসর বসায়। নাম প্রকাশ না করার সর্থে জনৈক এক কর্মচারী বলেন, রাতের বেলায় এখানে মাদক সেবনের মিলন মেলা বসে। রাতে আসলে আপনারা দেখতে পারবেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন হালদার বলেন, এবিষয় আমার কিছু বলার নাই। তবে আমি প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আজিজ মোর্শেদ চৌধুরী স্যারের সাথে কথা বলছি। আপনিও তার সাথে কথা বলতে পারেন। পরে প্রধান প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে কলদিয়ে কথা বলতে চাইলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ সমীর কুমার সরকারের মোবাইল ফোনে বার বার কলদিয়ে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।