অপ প্রচারের জবাব দিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডাঃ জাহিদ খান রিন্টু

এ এইচ অনিক:
শত বাধা বিপত্তির পরেও নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ জাহিদ খান রিন্টু তার প্রতিক আনারস মার্কার প্রচার প্রচারনা চালিয়ে জচ্ছিলেন। প্রথম থেকেই একটি মহল তাকে আওয়ামী লীগ মননিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে স্বমর্থন দিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার কথা বলেআসলেও একটি মহলের কয়েকজন মিলে কদিন আগে শুয়াগ্রাম বাজারে, জনো স্ব মুখে ডাঃ জাহিদ খান রিন্টুর কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদে কাছে থাকা দেড় থেকে দুই হাজার পোষ্টার রাস্থায় ফেলে পুড়িয়ে দেয়াহয়। এসময় তাদের প্রার্থকে ও মামলা হামলা সহ নানা ভয়ভিতির কথাও বলাহয়। যেকারণে (ডাঃ জাহিদ খান রিন্টু তার প্রচার প্রচারনা) বন্ধ কর দেন তবুও একের পর এক মিথ্যা অপবাদ সহ নানা অপ প্রচারের স্ব সম্মুখি হতেহয় তাকে। এমন টাই আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ডাঃ জাহিদ খান রিন্টু। তিনি খোভের সাথে আরো জানিয়েছেন আমি বা আমার কর্মীরা মাঠে না থাকলেও আামার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোষ্টার পোড়ানো সহ নানা অপ প্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আমার পরিবার এ ইউনিয়নের শুরুর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবারের আমিও আমার ছাত্র জিবন থেকে স্বমপৃক্ত হবার পরেও আমি এ লাকার জনোগনের দাবির কারনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি বা আমার পরিবার নাকি বি এন পির লোক! যেকারনে একটু পিছে ফিরতে হয়। আমি কোটালিপাড়া উপজেলার ১০ নং শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ী গ্রামে ৭০ দশকের শেষের দিকে সম্ভ্রান্ত ও ঐশ্বর্যপূর্ণ ও আওয়ামীলীগ এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এমন একটি পরিবারে আমার জন্ম। তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুয়াগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আমার প্রয়াত পিতা হাজী আঃ হামিদ খান (শিক্ষক)। আমার ফুপা সোনাটিয়ার ডাঃ রহমান তাজ,যিনি ছিলেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। ফুপার সাথে তিনি বহুবার আমাদের বাড়িতে এসেছেন এবং রাত্রি যাপন করেছেন। তিনি যে চৌকিতে রাত্রি যাপন করছেন সেটি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে জরাজীর্ণ হলেও মেরামত করে এখনও আমাদের বাড়িতে স্মৃতি স্বরুপ সংরক্ষিত আছে। ১৯৮৬সালে ৫ম শ্রেনীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত আমি দশম শ্রেনীতে অধ্যায়ন কালীন সময়ে বতর্মান কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় আয়নাল ভাই, মতিয়ার ভাই, লিটু ভাইদের উপস্তিতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্কুলশাখার সভাপতি হই।৯২তে আমি স্টার মার্কস সহ কোটালীপাড়া সেন্টার ফার্সট হই। কলেজ জীবনে বরিশাল বি, এম কলেজে বলরাম পোদ্দার দাদার সাথে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ এর রাজনীতি করি। মেডিকেলে পড়াকালীন আমার ময়মনসিংহে অনাকাঙ্ক্ষিত Transfer হলে বলরাম দাদার সহযোগিতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করি।আপার তৎপরতায় ও সরাসরি সহযোগীতায় আমি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল থেকেই এম,বি,বি,এস,পাশ করি। আপা সেদিন আমাকে বলেছিলেন ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করবা। আমিও সেদিন আপাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আপাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি প্রতি পালনের লক্ষ্যে আমি আমার নিজ এলাকায় (শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে) একটি আধুনিক মানের হসপিটাল স্থাপন করে নামমাত্র মূল্যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সব নিবর্চনে আমি নীজের সব শক্তি দিয়ে আমার এলাকার অন্যান্য নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নৌকা প্রতীকে ১০০% ভোট নিশ্চিত করি। গত ২০১৬ সালে ও আমি প্রার্থী হই, তখন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি আয়নাল ভাই আমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান এবং পরবর্তীতে আমার ব্যাপারটা বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি সেদিন শ্রদ্ধেয় আয়নাল ভাই তথা উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের সম্মানে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেই। সম্প্রতি আমার নামের সাথে মিল থাকা জাহিদ খান নামে অন্য একজন বিএনপি নেতার নাম কে আমার নাম বলে চালিয়ে দিয়ে আমাকে বিএনপি নেতা হিসেবে মিথ্যা ভাবে আখ্যা দেয়া হয়। অত্র এলাকার সমস্ত জনগণ জানেন যে এই ‘জাহিদ খান’ আর আমি ডাক্তার জাহিদ হোসেন খান রিন্টু একই ব্যক্তি নই । তথাপিও আমাকে বিএনপি নেতা বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আজ আমি সতন্ত্র প্রার্থী। আমাকে প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিনতাই, ছিড়ে ফেলা ও পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমি আপনাদের দ্বারে দ্বারে আসতে পারছি না এজন্য আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি আপনাদের দোয়া, সমর্থন ভালোবাসা ও সহযোগিতা প্রত্যাশী এমনটাই আমারের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ডাঃ জাহিদ খান রিন্টু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x