পাত্তাই পেলনা ইউক্রেন, ২৫ বছর পর সেমিতে ইংল্যান্ড

মাঠে ময়দানে ডেস্ক:
ইউক্রেনের জালে শুরুতে এক গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন তিনটি। ইংল্যান্ডের কাছে যেনো কোন পাত্তাই পেলনা ইউক্রেন। প্রতিপক্ষকে ন্যূনতম চ্যালেঞ্জও জানাতে পারল না আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর ছাত্ররা।
শনিবার রাতে রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।
ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেইন। হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও জর্ডান হেন্ডারসনের পা থেকে এসেছে একটি করে গোল।
খেলায় ইংল্যান্ড গোলের উদ্দেশে মোট ১০টি শট নেয় তারা, যার ৬টি লক্ষ্যে। বিপরীতে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর দলের সাত শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। যদিও এর কোনোটিই তেমন ভীতি ছড়াতে পারেনি।
আক্রমণাত্মক শুরু করা ইংলিশরা ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয়। রাহিম স্টার্লিংয়ের ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে প্রথম ছোঁয়াতেই জালে পাঠান কেইন। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে প্রথমেই দলকে এগিয়ে দেন।
৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো ইংলিশরা। স্টারলিংয়ের কাট-ব্যাক থেকে পোস্ট থেকে ২০ গজ দূরত্বে বল পান ডিক্ল্যান রাইস। তিনি দারুণ এক শট নিলেও ইউক্রেন গোলরক্ষক দলকে বাঁচান। ১-০ গোলে এগিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে ইংলিশরা।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাগুইয়ার। বাঁ দিক থেকে ক্লাব সতীর্থ লুক শয়ের দারুণ ফ্রি কিকে হেডে গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ডিফেন্ডার। চার মিনিট পরেই কেইনের জোড়া গোলের মধ্য দিয়ে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। স্টারলিং ব্যাক-হিল করে বল পাস দেন শকে। ​সেখান থেকে এই লেফট-ব্যাক ক্রস করলে টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন।
৬২তম মিনিটে কেইনের জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক হতে দেননি গোলরক্ষক বুশচান। তবে ৬৩তম মিনিটে সন মাউন্টের কর্নার থেকে এই হেন্ডারসন হেড করে গোল দিয়ে ব্যবধান ৪-০ করে ফেলেন। কার্যত ইউক্রেনকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ইংল্যান্ড।
এরপর ছিল কেবল শেষ বাঁশির অপেক্ষা। ৯০ মিনিট শেষে এই স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। ৫৫ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্নে আরেক ধাপ এগোল ইংলিশরা। আগামী ৭ জুলাই লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x