ফুলবাড়ীতে বিধিনিষেধ কার্যকরে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর):
অন্যসময় লকাডাউন চলাকালে বিধিনিষেধ অমান্য করে মানুষ ঘর থেকে কম বের হলেও এবার সে প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। সরকার কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করলেও ঘরে থাকছে না মানুষ। লুকোচুরি খেলা হচ্ছে প্রশাসনের সাথে। এতে হিমশিম খেলেও কঠোর তাৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন।
ফুলবাড়ীতে লকডাউন বিধিনিষেধ কার্যকরে পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজের যৌথ নেতৃত্বে কাজ করছেন তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের কৌতূহলী মানুষ ও তরুণদের নিয়েই বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। হাট-বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় কম বয়সী ছেলেরা অলিগলি ছেড়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। খেলার মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখলেই দৌঁড়ে পালাচ্ছে। কোথাও কোথাও অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করা তরুণসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে আটক করে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যদি এভাবে লুকোচুরি খেলা করে তবে কিভাবে সম্ভব সবার পেছনে ছুটে বেড়ানো?
গত শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, পৌরএলাকাসহ ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে মানুষের ভিড়। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। আরো নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। চায়ের দোকানে কিংবা নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বাহিরে বসে উঁকি দিয়ে দেখছে প্রশাসনের গাড়ি আসছে কিনা। লক্ষ্মীপুর বাজারে দেখা গেছে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। প্রশাসনের গাড়ি দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে দূর থেকে প্রশাসনকে দেখছে তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজ গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যেতে অনুরোধ করছেন তারা।
তারা প্রতিবেদক’কে জানান, করোনা পরিস্থিতি নাজুক থেকে আরো নাজুক হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের বিধিনিষেধ না মেনে চললে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না। একদিকে অভিযান চালালে অন্যদিক থেকে লুকোচুরি খেলঝে মানুষ। মানুষ যদি নিজেদের ভালো নিজেরাই না বোঝে তাহলে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর কতোটা বোঝাবে? প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে এবং জরিমানা করা হচ্ছে। তবুও মানুষের কোন ভয়ভীতি দেখা দিচ্ছে না। জরিমানা দেয়াটাও মানুষের কাছে কিছুই মনে হচ্ছে না। আটক করলেই জরিমানা দিয়ে হচ্ছে যাচ্ছে। একটু দূরে গেলেই পূর্বের অবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x