যে কারণে ‘কঠোর লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
কালান্তর ডেস্ক:
দেশে বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে সাত দিনের ‘কঠোর লকাডাউন’ ঘোষণার এক দিন পর সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সরকার। শনিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে জুন মাসের ক্লোজিংয়ের জন্য ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে লকডাউন থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রবিবার জানানো হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
ওই বৈঠকের তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হবে। এ সময় থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সীমিত পরিসরে কিছু প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র খোলা থাকবে। আর সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।
এর আগে শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।