কাঁঠালিয়ায় মাদকের জমজমাট ব্যবসা

কাঁঠালিয়া প্রতিনিধি:
কাঁঠালিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন দহ্মিন আউরা গ্রামে স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন ” মাদকের ছোবলে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে দহ্মিন আউরা গ্রাম থেকে শুরু করে আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়েছে এর প্রভাব। তবে বসে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দিনরাত অভিযান চালাচ্ছে। ওয়ার্ডের’ শীর্ষ ইয়াবা কারবারিরা এখনো অধরা রয়ে গেছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মুখেও ওইসব ইয়াবা কারবারিরা আড়ালে চলে গেলেও বন্ধ হয়নি তাদের ইয়াবার ব্যবসা। মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশলে রুট বদল করে বীরবেশে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রায় সময় র‌্যাব ও পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে ইয়াবার বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। দহ্মিন আউরা গ্রামে ইয়াবা ব্যবসার নেপথ্যে কারা তাদের পাকড়াও করতে পুলিশের অভিযানও অব্যাহত রেখেছে।
মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে কাঁঠালিয়া উপজেলা সদর ৪নংইউনিয়নের ইয়াবা কারবারিদের আইনের জালে আটকানোর দাবি জানান সচেতন মহল। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত আছেন। তাদের একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। আইনের আওতায় পাকড়াও করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে পুলিশ ও র‌্যাব’র মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিরা নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হচ্ছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শীর্ষ অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে। এদের সবাই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তেমনি ২নং ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আস্তানা রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের দহ্মিন আউরা গ্রামের এলাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেটের ইয়াবা গডফাদাররা মূল হোতা হিসেবে কাজ করছেন বলে জানান এলাকাবাসী। তাদের সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য বিভিন্ন সময় ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছে।
ওই সিন্ডিকেটের একজন মাদক কারবারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে শীর্ষ গডফাদার হিসেবে তালিকাভুক্ত। মূলত দহ্মিন আউরা গ্রামে এলাকাটি এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ‘আড়ত ঘর’ হিসেবে চিহ্নিত। দিয়ে ইয়াবা আসে। এরপর সড়ক, সাগর, পথে ইয়াবা চালান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এ কারণে প্রবেশমুখ দহ্মিন আউরা গ্রামে হয়ে বিভিন্ন জায়গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ইয়াবা কারবারিরা বেছে নিয়েছে। ইয়াবা গডফাদারদের মতো, দহ্মিন আউরা গ্রামে কয়েকজন শীর্ষ গডফাদার রয়েছে। এদের মূল আস্তানা এখন চায়ের দোকানে আগে মাদকপাড়া হিসেবে খ্যাত থাকলেও, তারা এখন পুলিশি অভিযান এড়াতে পাশর্^বর্তী ওয়ার্ডকে বেছে নিয়েছে।
ইয়াবা ব্যবসা করে অনেক মাদক ব্যবসায়ী রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। ওয়ার্ডের অনেক ইয়াবা কারবারি গাড়ি-বাড়ি কোটি কোটি মালিক বনে গেছেন। আলিশান বাড়িও নির্মাণ করেছে। এমন কথা এখন পুরো গ্রামে জুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অভিব্যক্তি তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষ।
সাধারণ মানুষের আলাপচারিতায় উঠে আসছে অল্প সময়ে এত টাকা মালিত বনে যাওয়ার উৎস কোথায়! আরো নানা কথা। তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্তে নামার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল। সাধারণ মানুষের দাবি, যারা মাদকের বিস্তার ছড়িয়ে দেশ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করছে তাদের বিচার করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x