পাবজি-ফ্রি ফায়ার এ প্রভাবিত হচ্ছে কোমলমতি শিশু কিশোর

এ এইচ অনিক:
টানা দীর্ঘদিন ধরে চলমান করোনা মহামারি যেকারণে ধীর গতিতে চলছে ব্যাবসা বানিজ্য সহ সবকিছুই চলছে সাস্থবিধি মেনে। যেকারণে বন্ধ আছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে অনলাইনে লেখাপড়া। শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময় পারকরছে বিভিন্ন খেলাদুলা সহ নানান কাজে তারমাঝে রয়েছ ভালো মন্দ অনেক কাজে অন্যদিকে অনলাইনের অবাধ ব্যবহার উঠতি বয়সী কোমলমতি শিশু কিশোর-কিশোরিদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে ফ্রি ফায়ার বা পাবজি নামক গেমের ভয়াবহ নেশার দিকে আসক্তি হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অতি আদরের শিশুটি! তাদের হাতে দেয়া যায় দামী স্মার্ট ফোন সহ বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেট, আর এই গেমস খেলতে দরকার হয় ইন্টারনেট যা কিনতে দরকার হয় অর্থের। এঅর্থ মধ্যবিত্তদের সন্তানেরা আনায়াশে পেলেও নিম্মবিত্তদের ছেলেমেয়ের জোগাতে হয় অনেক কস্টে, এসময় অনেকে লিপ্ত হয় নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে। প্রচলিত এ গেমস দুইটি যুব সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ধীরে ধীরে তাদের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। চলমান এই গেমস দুইটিই যেন হয়ে উঠেছে বই বিমুখ কিশোর-কিশোরিদের অবসর বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করেছে। ফ্রি ফায়ার পাবজি নিয়ে দেশের সকল আবিভাক দের দুশ্চিন্তায় ফেলেদিয়েছে। অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্তদের খাওয়া-ঘুম তো নেই-ই বরং তাদের সময় নেই কারোর সঙ্গে গল্প বা কথা বলার। এভাবে চললে তারা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই গেমস দুটি খেলতে তাদের ইন্টারনেটের পাশাপাশি ব্যায়ও হয় অনেক। গেমসের এক একটা চরিত্র কিনতে ৫০০-৭০০ টাকা খরচ করতে হয়। ব্যায়ের এ অর্থ তারা কোথা থেকে সংগ্রহ করে তার হিসেব কি রাখেন তাদের অভিভাবকরা। অনেক সময় চাপের মুখে বা একপ্রকার জিম্মি হয়েই অর্থ দিতেহয় অবিভাবকেরা।
এই গেমসের আসক্ত হয়ে অনেক কিশোর-কিশোরি জরিয়ে পরছে অসামাজীক ও অপ্রীতিকর কর্ম কান্ডে । ভুলে যাচ্ছে সামাজিক কর্মকান্ড পরিবার থেকে শুরু করে সবার সাথেই করছে খারাব আচরন তারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেনা তাদের আদরের সন্তান কে! এমন কি উঠতি বয়সী এসব কিশোর কিশোরি গন গেমসের কৌশল এবং অস্ত্র ব্যবহার দেখে তৈরি করছে কিশোর গ্যাংয়ের মত অনেক অপরাধী চক্র। গ্রাম গঞ্জের অবিভাবকদের ধারনা মাহা মারি করোনার কারনে অনলাইন ক্লাসগুলো বা অবাদে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের যদি অনলাইনে না দিয়ে ইলেকট্রনিকস মিডিয়া যেমন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতো, তাহলে হয়তো ভালোর দিকটাই বেশি হতো। কেননা অনলাইন ক্লাস করার জন্যই এসব কিশোর কিশোরির জন্য তাদের অবিভাবকে কিনতে হচ্ছে নতুন নতুন স্মার্ট ফোন, আর ক্লাস করার পাশাপাশি তারা আসক্ত হচ্ছে এসব অনলাইন গেমস খেলতে। এরা বাড়ি ঘর ছাড়াও তাদের অবিভাবকের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুরপাড় ঝোড় ঝাপসহ গাছের আড়ালে সকাল থেকে শুরু করে গছের আড়ালে বসেযায় তাদের দল-বল নিয়ে।
ফ্রি ফায়ার পাবজি নিয়ে দেশের সকল আবিভাক দের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে পাবজি বা ফ্রি ফায়ারের মন্দ দিক যেমন রয়েছে সাথে সাথে কিছু ভালো দিক ও আছে।
দেশে চলমান করোনার সময় এসব ছেলেমেয়েরা দুর দুরন্তে যেতো তাছিলো অধিক বিপদজনক। বাংলাদেশের এক সমীক্ষায় দেখাগেছে উঠতি বয়সের কোমলমতি ছেলে মেয়েরা মাদকের প্রতি বেশী ঝুকে পড়ছে যা সমাজের জন্য ভয়ংকর। সেখানে মাদকের পরিবর্তে যদি ছেলে মেয়ে পাবজি বা ফ্রি ফায়ার নিয়ে বসে থাকেন তবে সেটির থেকেও ভালো। তবে এসব গেমস খেলায় যেন ব্যপক ভাবে আসক্ত না হতেপারে সে দিকেও তাদের অভিভাবক দের সতর্ক থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x