আশাশুনিতে এ টি এম বাহিনীর ঘন্টা ব্যাপী তান্টবে অন্তসত্তা জোসনা এখন শয্যাশাহী
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নেরর কাকবাসিয়া গ্রামের একটি অসহায় পরিবারকে বাস্তচিত করার জন্য এটি এম বাহিনীর ঘন্টাব্যাপী তান্টবে ৭ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধু জোসনা সহ চার জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ১২ জুন বেলা ৫টার দিকে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটে । এটি এম বাহিনীর লৌহমর্ষক তান্ডবের আঘাতে অন্তসত্তা জোসনার রক্তখরন অব্যহত আছে। অবস্থা আশাংকা জনক হওয়ায় গৃহবধুর পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তার পরিবার জানান এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় গৃহবধুর স্বামী বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেছে । জানাগেছে আবহাওয়ামান কাল থেকে নানার বাড়ির জমির উপর বসবাস করছে জোসনার স্বামী বিল্লাল হোসেন সহ তার আপন সহদর ভাইয়েরা। এর মধ্যে এটি এম বাহিনীর নির্দেশে একই গ্রামের মৃত মজিদ সানার ছেলে এটি এম বাহিনীর অন্যতম সদস্য সাইদ সানা আশাশুনি থানায় জমি পাবে বলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃংখলা বজায়ের সার্থে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার কথা বলেন। এরপর থানার কর্তৃব্যরত এস আই জাহাঙ্গীর ও এ এস আই নাজিম উদ্দীন শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সে মোতাবেক গত ১২ জুন মাপ জরিপ চলা কালিন সময় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি এটি এম বাহিনীর এক দল ক্যাডার দেশীয়ও অস্ত্র-সস্ত্রে সর্জিত হয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়। এর পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন ও তার ভাই আলমগীরকে বেদম মারপিট শুরু করলে তারা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় । তাদের ডাক চিৎকারে আলমগীরের স্ত্রী সাবিনা (২০) ও অন্তসত্তা জোসনা (২৫) ঠেকাতে গেলে এটি এম বাহিনীর প্রধান সাইদ ও হালিম প্রকাশ্য দিবালোকে লৌহমর্শক তান্ডব চালিয়ে অন্তসত্তা গৃহবধু জোসনার তলপেটে লাথি মেরে রক্তাত্ত জখম করে। এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি পরে আলমগীরের স্ত্রী সাবিনাকে ও বিবস্ত্র করে টানা হেছড়া করতে থাকে। এমন দৃশ্য দেখে মুহুত্তের মধ্যে বাড়িটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ে। এমতো অবস্থায় এটি এম বাহিনী তাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগত টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে । পরে অবস্থা বেগতি দেখে মুমুর্শ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে অন্তসত্তা গৃহবধুকে প্রেরন করেছেন বলে তার পরিবার জানান। উল্লেখিত বিষয় বাহিনীর প্রধানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার পক্ষে একজন মারাক্ত ভাবে আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে। এব্যাপারে ওসি গোলাম কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পাল্টা দুটি অভিযোগ পেয়েছি তবে কোন পক্ষের বিরদ্ধে মামলা নেয়নি। তদন্ত অব্যহত আছে অপরাধ প্রমানিত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। #
সাংবাদিক আরিফুলের মামা শশুর আর নেই
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনি বৈকরঝুটি গ্রামের মরহুম আব্দুল গাফফার গাজীর জৈষ্ঠ্য পুত্র সাংবাদিক আরিফুলের মামা শশুর মোক্তার হোসেন শনিবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন), তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বৎসর, তিনি প্রায় ১মাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেলেন তার শরীরের অবস্থা কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও করোনার ভাইরাসের টেস্ট করান, গত ১১ ই জুন করোনা নেগেটিভ আসে এবং ১২ জুন রোজ শনিবার আনুমানিক রাত ২টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, আজ বাদ যোহর জানাজা শেষে নিজস্ব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়, তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে ও অসংখ্যা গোনাগ্রাহী রেখে গেছেন ।