৪ মাসে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো ১৭৭ জনের

কালান্তর ডেস্ক :
সারাদেশে ৪ মাসে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৯ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৩ শিশু ও ৯ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছেন।
শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে সেভ দ্যা সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএএফ)।
এতে জানানো হয়, ২০২১ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে ১২২ জন, ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে ১৫ জন, ঘরে অবস্থানকালীন সময় ১০ জন, নৌকায় মাছ ধরার সময় ৬ জন, মাঠে গরু আনতে গিয়ে ৫ জন, মাঠে খেলা করার সময় ৩ জন এবং বাড়ির আঙিনায়/উঠানে খেলা করার সময় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া ভ্যান বা রিকশা চালানোর সময় ২ জন ও গাড়ির ভেতরে অবস্থানকালীন বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বজ্রপাতে হতাহতের এ পরিসংখ্যান জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিউজ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এ বছর বজ্রপাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় চলতি বছরের মে ও জুন মাসেই মারা গেছে ১৮ জন।
সংবাদ সম্মেলনে বজ্রাঘাতে মৃত্যু কমাতে বেশ কিছু দাবি করা হয়। সেগুলো হলো-
১. বজ্রপাতের ১৫ মিনিট আগেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানতে পারে কোনো কোনো এলাকায় বজ্রপাত হবে। এটাকে মোবাইল মেসেজ আকারে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. ঝড়/জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃত্যুর হার যতটা তার চেয়ে অনেক বেশি মৃত্যুর হার বজ্রপাতে। তবে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করলেও এ খাতে বরাদ্দ কম। মানুষের জীবন রক্ষার্থে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৩. মাঠে, হাওর, বাওরে বা ফাঁকা কৃষি কাজের এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। যার ওপরে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করতে হবে। যেন বজ্রপাতের সময় কৃষকরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
৪. বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে থান্ডার প্রটেকশন সিস্টেমের সব পণ্যে শুল্ক মওকুফ করতে হবে।
৫. সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপনের ঘোষণা দিতে হবে।
৬. বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা/ থান্ডার প্রটেকশন সিস্টেম যুক্ত না থাকলে নতুন কোনো ভবনের নকশা অনুমোদন করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x