২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের প্রতি খুলনা চেম্বারের অভিনন্দন

বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমূখী, গণমূখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করে খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এ বাজেটকে সাধুবাদ জানান। এ বাজেট ঘোষণার জন্য খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হকসহ পরিচালনা পরিষদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
আজ মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হলো। এটা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক ১৩তম বাজেট এবং করোনাকালীন সময়ের দ্বিতীয় বাজেট। এ বাজেট আমরা মনে করি সুষম হয়েছে, এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, স্বাস্থ্য, কৃষি, চিকিৎসা সর্বক্ষেত্রে এর সুফল জনগণ পাবে। এ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার দিক অনেক প্রসারিত হয়েছে, ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা এ বাজেটকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট প্রণয়ন করায় এ বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করছি।
খানজাহান আলী বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজে আরও অধিক পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ ও শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে যথাশীঘ্রই চালু করার জন্য খুলনা চেম্বারের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া জলোচ্ছ্বাস হতে রক্ষার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের নদীবেষ্টিত অঞ্চল সমূহে স্থায়ী ভেড়ী বাঁধ নির্মাণ ও সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমাদের বিগত দিনে সিডর, আইলা, আম্ফান ও সর্বশেষ ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড় এবং করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিল্প-কলকারখানা এবং মৎস্য ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে এ বাজেটের সুফল পেতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ রাখলেও দোকান ভাড়া, ভ্যাট, ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে তাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এমতাস্থায় মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট মওকুফ অথবা প্যাকেজ ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে। তাছাড়াও মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকার প্রদত্ত অনুদান পেলে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। করোনা মহামারীর কারণে মাছ, পাট, আমদানীকারক-রপ্তানীকারক সহ মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এ বাজেটে এতদাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হলে ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তা নিশ্চিত করার জন্য অর্থমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x