মাগুরা শ্রীপুরে আজাদ মিয়ার মৎস্য খামারে লাখ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি 

ফারুক আহমেদ, মাগুরা :
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার টুপিপাড়া গ্রামের প্রবাস ফেরত রেমিট্যান্স যোদ্ধা নবীন মৎস্য চাষী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আজাদ মিয়া। নবীন মৎস্য চাষী আজাদ মিয়া ২০১৮ সালে ৩ একর পুকুরে কার্প জাতীয় সম্বনীত মৎস্য চাষ শুরু করেন।  ডিসেম্বর ২০২০ সালের ১৮ তারিখে হঠাৎ করে মাছ গুলো পুকুরে মরে ভেসে উঠে। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মাছ গুলো পর্যায়ক্রমে মার্চ মাস পর্যন্ত পুকুরের সমস্ত মাছ মারা যায়। হঠাৎ করে দুইটা বড় পুকুর মিলিয়ে প্রায় আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি হয়। এই বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যাওয়ার কারণে মৎস্য উদ্যোক্তা আজাদ মিয়া হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েন। করোনাকালীন সময়ে ৪% সুদে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋৃণ গ্রহণ করে এই মৎস্য চাষ শুরু করেন। আজাদ মিয়া দৈনিক গণমুক্তির জেলা প্রতিবেদককে বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর শ্রীপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের অফিসে ১৫ থেকে ২০ বার তার অফিসে সরজমিনে দেখা করে বিষয়টি জানায়। কিন্তু একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি কোন দিন আমার পুকুরে পরিদর্শনে আসেননি। এরপর আজাদ মিয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত প্রেরণ করেন। দরখাস্ত প্রেরণের পরেও পুকুর পরিদর্শনে কেউ সাহায্য ও সরেজমিনে আসেনি। এরপর আজাদ মিয়া বুধবার ২৬ মে আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটের সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে শ্রীপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা বাবুল রেজার সাথে আব্দুর রাজ্জাকের অফিসে যান। আমি অফিসে গেলে আব্দুর রাজ্জাক আমাকে দেখা মাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন, সে বলে আপনি কেন আমার অফিসে আসছেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে মাগুরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করছেন কেন? আপনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ করলেও আমি সরেজমিনে যাব না এবং আরো অনেক হুমকি দামকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টির ব্যাপারে এড়িয়ে যান। তার অফিস সহকারীর কাছে মুঠোফোন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আজাদ মিয়া দরখাস্ত প্রেরণ করে এবং একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ দিছে। মৎস্য খামারে এই বিষয়ে সরাসরি পরিদর্শন করলে, এলাকাবাসীর লোকজন জানায়,  আজাদ মিয়ার প্রায় আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে ও উপজেলা মৎস্য অফিসাররা কেউ আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x