ভবনটি দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা অফিস :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে হারিয়ে যেতে বসা ডাকবাক্সের আদলে ১৪ তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ডাক বিভাগের সদর দপ্তর ‘ডাকভবন’ উদ্বোধন করেছেন।
আর এর মাধ্যমে আধুনিক স্থাপত্য নকশায় ১৫০ ফুট উঁচু গাড়ি পার্কিং–সুবিধাসহ দুটি বেসমেন্টসহ ১৪ তলাবিশিষ্ট লেটারবক্সের আকৃতিতে নির্মিত ডাক বিভাগের নতুন সদর দপ্তরের যাত্রা শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অত্যাধুনিক কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজকর্মে আরও গতিশীলতা আনবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেটারবক্স অনেকে ভুলে গেছে। সবাই এসএমএস ও মেইল দেয়। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই লেটারবক্স–সদৃশ ভবন দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে। ভবনে চিঠিপত্র ঝুলছে, চিঠি যাচ্ছে–আসছে, এমন কিছু চিত্র যোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল–সুবিধা, অগ্নিনির্বাপণ–ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক ওয়াই–ফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আফজাল হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস পিএমও থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ গণভবন এবং পিএমওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ঢাকার আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে ডাক বিভাগের নিজস্ব ৭৫ শতক জমির ওপর ডাকভবন নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন করে।